সিতাই বিধানসভার বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়া ও দিনহাটা ১ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সঞ্জয় বর্মনের বক্তব্যের মাধ্যমে আবারও তুঙ্গে কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। উল্লেখ্য গত দুইদিন আগে দলের নিয়ম ভঙ্গের অভিযোগে জেলা পরিষদের কর্মাধককো নুর আলম হোসেনকে বহিষ্কার করে জেলা তৃনমূল। আর তার পরেই দিনহাটা ১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সঞ্জয় বর্মন প্রেস মিট করে ব্লকের তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন, নুর আলম হোসেন যেন কোথাও দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে না পারে।
কিন্তু তার পরেও গতকাল বিধায়ক জগদীশ বসুনিয়ার সাথে দলীয় কর্মীসভায় অংশ নেন এই বহিষ্কৃত নেতা। আর এদিনের ওই সভা থেকে বিধায়ক নুর আলম হোসেনকে সমর্থনের পাশাপাশি দিনহাটা ১ তৃণমূল ব্লক সভাপতি সঞ্জয় বর্মন সহ জেলার নেতৃত্বকে তোপ দাগেন। এমনকি এদিন বিধায়কের উপস্থিতিতে ওই কর্মীসভায় অভিযোগ করা হয় যে সঞ্জয় বর্মন বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির প্রচার করেছেন। শুধু তাই নয় বিধায়ক জানান, যে অনাস্থা প্রস্তাবের কারণ দেখিয়ে নুর আলম কে বহিষ্কার করা হয়েছে ওই একই কারণে ব্লক সভাপতিও অভিযুক্ত। তাহলে তার বিরুদ্ধে কেন দল ব্যাবস্থা নিবে না।
তবে এদিনের এই কর্মীসভায় জবাবে ব্লক সভাপতি সঞ্জয় বর্মন বিধানসভা নির্বাচনে তার বিজেপি যোগের কথা অস্বীকার করে উল্টো বিধায়কের বিরুদ্ধেই একই অভিযোগ আনার চেষ্টা করেন। তিনি আরো জানান, দল সবকিছু পর্যালোচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়াও তিনি বিধায়কে তার শুভ বুদ্ধির আগমনের জন্যে সময় দেন।
সব দিক বিবেচনা করে জেলার রাজনৈতিক মহলের ধারণা বিধায়ক বনাম ব্লক সভাপতির পরস্পরের প্রতি এই কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে কোচবিহারে আবার নতুন করে তৃনমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্য হয়েছে। আর তার সুযোগ তুলতে পারে বিজেপি। তবে এবার দেখার বিষয় এটাই যে, রাজ্য নেতৃত্ব জেলার এই গোষ্ঠী কোন্দল নিরসনে কতটা তৎপর হয়।
0 Comments