বাংলাদেশের ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ মহারাজ কি একজন ধৰ্মীয় মৌলবাদী - একটি প্রতিবেদন

সংবাদপত্র ডেস্ক,৩০নভেম্বর ২০২৪ঃ বাংলাদেশের একদল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক নেতা সাধু চিন্ময় কৃষ্ণ মহারাজকে দেশদ্রোহের অপরাধে শুধুই জেলবন্দি করেই ছাড়ে নি, তাদের দাবি চিন্ময়কৃষ্ণ একজন উগ্র হিন্দু মৌলবাদী। এর পরে স্বাভাবিক কারণেই বাংলাদেশের হিন্দুরা বিক্ষোভ আন্দোলনে ফেটে পড়েন। আসল কথা হলো, হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই বাংলাদেশের প্রশাসনিক দায়িত্ব পরোক্ষভাবে চলে গেছে পাকিস্তান পন্থী জামাত গোষ্ঠীর হাতে। আর তার পরিনামেই বাংলাদেশের কোটা বিরোধী আন্দোলেন হয়ে উঠেছে ভারত বিরোধী ও হিন্দু বিরোধী আন্দোলেন।




  এর প্রতিবাদেই বাংলাদেশের সংখ্যালঘু (হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, জৈন) সম্প্রদায় প্রতিবাদে পথে নেমেছে। প্রসঙ্গত বাংলাদেশের একাধিক সংখ্যালঘু সংগঠনের মঞ্চ একসঙ্গে 'বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোট' নামে আন্দোলেন শুরু করেছেন। আর সেই জোটের প্রধান ইসকনের সাধু চিন্ময় কৃষ্ণ মহারাজ সহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করে আন্দোলেন থামানোর চেষ্টা করছে ইউনুস সরকার।


  কোনো শান্তিপ্ৰিয় ধৰ্মীয় আন্দোলকে জোর করে থামানোর চেষ্টার বিরুদ্ধে সারা পৃথিবী গর্জে উঠেছে। প্রতিবাদ এসেছে আসমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন থেকেও। 


  এরই মাঝে ইসকনের একদল সন্ন্যাসী চাপে পরে ঘোষণা করেন যে চিন্ময় স্বামী ইসকনের কেউ নয়। কিন্তু কাল বিলম্বা না করে এক প্রেস বিবৃতিতে ঢাকা, আমেরিকা ও কলকাতার ইসকনের প্রধান দপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, চিন্ময় স্বামী ইসকনের একজন মহারাজ ও সন্ন্যাসী। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারত-সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চিন্ময় কৃষ্ণের মুক্তির দাবিতে যখন বিভিন্ন সংগঠন এবং ইসকনের সাধু ও অুনগামীরা প্রতিবাদে সরব, তখন সংস্থার বাংলাদেশ শাখা বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করে। তাৎপর্যপূর্ণ হল, ভারতীয় সময় শুক্রবার সকালে ইসকনের নিউ ইয়ক অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা চিন্ময় কৃষ্ণের আন্দোলনের পাশে আছি। আমরা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কাছে সমস্ত ভক্তের মঙ্গল কামনা করি।’ সারা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পরে তীব্র প্রতিবাদ।


   চিন্ময় কৃষ্ণকে গ্রেফতার এবং জামিন না দেওয়ার সিদ্ধান্তে বুধবার প্রতিবাদ জানিয়েছিল ভারত। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রকের বিবৃতির প্রতিবাদ জানিয়ে রাতে পাল্টা বিবৃতি দেয় ঢাকা। তবে শুক্রবার পরিস্থিতি বদলে যায়। ভারতে একাধিক রাজনৈতিক দল ও প্রথমসারির নেতা-নেত্রী বাংলাদেশে হিন্দু নিপীড়ন নিয়ে সরব হন। ব্রিটেনের পার্লামেন্টেও একাধিক এমপি ইউনুস সরকারের দমনপীড়নের নিন্দা করে ভাষণ দেন। সুইৎজারল্যান্ডে রাষ্ট্রসংঘের দফতরের সামনে বিক্ষোভ করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। কড়া ভাষায় বিবৃতি দেন ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনা। এই মুহূর্তে কিছুটা কোনঠাসা ইউনুস সরকার। তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে তাকিয়ে আছে সারা বিশ্ব।


Post a Comment

0 Comments