অতি বৃষ্টিতে প্লাবিত আসানসোল শহর! পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামলো সেনা




রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী, আসানসোল: ঘূর্ণিঝড় গুলাপের হাত ধরে রাজ্যে সৃষ্টি হয়েছে এক নতুন ঘূর্ণাবর্ত। আর সেই ঘূর্ণাবর্তের জেরে মঙ্গলবার রাত থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের দক্ষিণ বঙ্গের পূর্বাঞ্চলের জেলা গুলিতে। এদিকে বুধবার দুপুরের পর থেকে দক্ষিণবঙ্গের পূর্বাঞ্চলের জেলা গুলির আবহাওয়ার উন্নতি হলেও। তার প্রভাবে অতিভারী বৃষ্টি চলছে রাজ্যের পশ্চিমা ঞ্চলের বাঁকুড়া,পুরুলিয়া,দুই বর্ধমান সহ পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ডে।


এদিকে বুধবার রাত থেকে অতিভারি বৃষ্টির জেরে কার্যত জলের তলায় শিল্পাঞ্চল আসানসোল।মূল রাস্তা গুলির উপর দিয়ে বইছে জল। কোথাও  এক হাটু আবার কোথাও কোমর সমান জল। বৃষ্টির জলে জলমগ্ন হয়েছে আসানসোলের গুরুনানক পল্লী রামকৃষ্ণ সরণি এবং রেল পার,বার্নপুর সহ আসানসোলের বিস্তৃন্ন এলাকা। অসহায় হয়ে পড়েছে ওই সমস্ত এলাকার বাসিন্দারা ।অধিকাংশ গৃহস্থের বাড়িতে ঢুকেছে জল।ফলে ক্ষোভ বাড়ছে জলমগ্ন এলাকার বাসিন্দা দের মধ্যে।



তাছাড়া ব্লকের মধ্যে অসুবিধা জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে অরবিন্দ নগর ও কল্যাণগ্রামা অঞ্চলে। এখান কার বহু বাড়ির পাঁচিল ভেঙে পড়েছে। সব দিকে নজর রাখছে সালানপুর বিডিও অদিতি বসু এবং তার টিম।

প্রশাসনের তরফে হেল্ফ লাইন নম্বর জারি করা হয়েছে।তাছাড়া মানুষের সুবিধার্থে মাইথন থেকে নৌকা নিয়ে গিয়ে জলমগ্ন বিভিন্ন জায়গাগুলিতে নৌকার ব্যাবস্থা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তাছাড়া সেনা বাহিনী নামানো হয়েছে। এমন দৃশ্য কোনো দিন দেখা যায়নি। এত পরিমানে বৃষ্টি বর্ষা কালে হয়নি যা গত ২৪ ঘন্টার মধ্যে হয়েছে এখানে বৃষ্টির পরিমাণ ৩৪৫ মিলিমিটার।


ঘাঘর বুড়ি মন্দিরের এক দোকানি জানান,টানা বর্ষণে দোকান ডুবে গিয়েছে,তাদের আবেদন যত সম্ভব জল নামিয়ে তাদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক  এইটাই সরকারের কাছে আবেদন। পাশাপাশি এক পড়ুয়া জলের এই দৃশ্য দেখার জন্যে পৌঁছায় ঘাঘর বুড়ি মন্দির সংলগ্ন এর আগেও এর থেকে বেশি হয়েছিল। তার তুলনায় এবার একটু হলেও কম।আগে পুরোই ডুবে গিয়েছিল এই মন্দির। পাশাপাশি 


ঘাঘর বুড়ি মন্দির সংলগ্ন ২ নম্বর জাতীয় সড়ক জল জমার ফলে ভারী যানবাহন আটকে পড়েছে। অন্যদিকে আসানসোলের রেল পারেও রেল টানেলে জল জমার ফলে ছোট গাড়ি পারাপার করতে গিয়ে ব্যাহত হয়। তবে এককথায় বলা যায় টানা বর্ষণের কারণে জনজীবন ব্যাহত আসানসোল শিল্পাঞ্চল। পাশাপাশি পরিস্থিতি মোকাবিলায় নামানো হয়েছে সেনা ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে ২৪ ঘন্টার কন্ট্রোল রুমও। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কন্ট্রোল রুমের নম্বর গুলি হলো ০৩৪১২২৫০৩৪৭/ ০৩৪১২২৫০২৯৮/ ৮১১৬৬০৪৪০০/ ৮১১৬৬০৪৪০১, এই নম্বর গুলিতে ফোন করে তাদের সমস্যার কথা বলতে পারবে এলাকার বাসিন্দারা।

Post a Comment

0 Comments