নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, ১১ ফেব্রুয়ারি: দীর্ঘ ১৪ বছর পর হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কাওয়ামারি এলাকার বাসিন্দা মোজাম্মেল হকের হত্যা মামলায় রায় দিল জেলা আদালত।বৃহস্পতিবার মালদা জেলা আদালতের বিচারক ১২ জন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেন।এবং এর পাশাপাশি ২০ হাজার করে জরিমানা ঘোষণা করেন আদালত।সকল আসামির বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুরের রাঙ্গাইপুর এলাকায়।সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন হাবিবুর রহমান,মজিবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম,ইউসুপ আলি, একরামুল হক, আলাউদ্দিন আলি, তফিজুল হক, ফানেসুর আলি, জিয়াউল হক, বাবলু হক, সিরাজুল ইসলাম ও জব্বার আলি।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৯ মার্চ হরিশ্চন্দ্রপুরের কাওয়ামারির বাসিন্দা মোজাম্মেল হক মালদা টাউন স্টেশন থেকে হরিশ্চন্দ্রপুরে যাচ্ছিলেন। ভালুকা রোড স্টেশনে ট্রেনের কামরা থেকে মোজ্জামেলবাবুকে নামিয়ে মারতে মারতে স্টেশনের বাইরে নিয়ে যায়। সেখান থেকে একটি ভুটভুটিতে হাত-পা বেঁধে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দেহটিকে খন্ড খন্ড করে কেটে এক কিলোমিটার দূরে এক সেতুর নিচে ফেলে দেওয়া হয়। পরদিন ৩০ জনের বিরুদ্ধে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন তাঁর স্ত্রী। এই ঘটনায় এদিন ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। বিচার চলাকালীন মৃত্যু হয় এক আসামির।
আরো জানা যায় রাঙ্গাইপুর এলাকার বাসিন্দা মজিবুর রহমানের সঙ্গে মোজাম্মেল হকের জমি নিয়ে এক বিবাদ ছিল। এই নিয়ে গ্রামে বেশ কয়েকবার সালিশি সভাও বসে। একদিন সালিশি সভায় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এই আক্রোশে মোজাম্মেল বাবুকে হত্যা করে মজিবুর রহমান ও তার দলবলেরা বলে অভিযোগ মোজাম্মেলের পরিবারের।
0 Comments