স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে গ্রাম পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের

 

নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর, ২৫ ফেব্রুয়ারি: অনিয়ম ও স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে পঞ্চায়েত দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা।ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রতুয়া-২ নং ব্লকের আড়াইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত দপ্তরে।ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় বলে খবর।শেষমেষ পুলিশের আশ্বাসে বিক্ষোভ তুলে নেই গ্রামবাসীরা।

বিজ্ঞাপন

গ্রামবাসীদের অভিযোগ জব কার্ড থাকা সত্ত্বেও কাজ মিলছে না।গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান নিজের ঘনিষ্ঠদের কাজ পাইয়ে দিচ্ছে এবং অনিয়ম ভাবে বিভিন্ন কাজের টেন্ডার করা করছে।বিশ্বজিৎ ও হামিম নামের দুই পঞ্চায়েত কর্মী দীর্ঘদিন আগেই এখান থেকে টান্সফার হয়ে গিয়েছে তবুও তারা এখনো পর্যন্ত এই দপ্তরে কাজ করছে।এই দুই পঞ্চায়েত কর্মী ও প্রধান চন্দনা মন্ডলের যোগসাজশে পঞ্চায়েত দপ্তরে বিভিন্ন রকম অনিয়ম ও দুর্নীতি চলছে।

   

বিক্ষোভকারী ইতি সাহা অভিযোগ করে বলেন প্রায় পাঁচ বছর আগে জব কার্ড তৈরি করা রয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো কাজ মেলেনি।প্রধান চন্দনা মন্ডল শুধুমাত্র নিজেদের লোককে কাজ পাইয়ে দিচ্ছে।বিশ্বজিৎ ও হামিম নামের দুই পঞ্চায়েত কর্মী দীর্ঘদিন আগেই ট্রান্সফার হয়ে গিয়েছে।তবুও তারা এখানে বহাল তবিয়তে কাজ করছে।প্রধান আমাদের কোন কথা শোনেন না।তাই আজ এই বিক্ষোভ।

লোকড়া গ্রামের বাসিন্দা গোবিন্দ সাহা অভিযোগ করে বলেন আমাদের গ্রামে একশো দিন প্রকল্পের কোন কাজ হচ্ছে না।ভুয়ো মাস্টার রোল তৈরি করে প্রধান চন্দনা মন্ডল এবং বেশ কিছু পঞ্চায়েত কর্মী গরিব মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছে। কাজ না করেই নিজেদের ঘনিষ্ঠ লোকের ব্যাংক একাউন্টে টাকা ঢুকিয়ে তুলে নিচ্ছে।এভাবে তারা লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করছে।অনেকেই দীর্ঘদিন আগে জব কার্ডের মাধ্যমে কাজ করেছে কিন্তু এখনো তারা কোন টাকা পায়নি। 

গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান চন্দনা মন্ডল বলেন এলাকার উন্নয়নের জন্য কাজের টেন্ডার করা হয়েছিল। সেই কাজকে ইচ্ছাকৃতভাবে বাতিল করার চক্রান্ত করছে বেশকিছু ঠিকাদার। পঞ্চায়েতের দুই কর্মীর বদলির বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন এখান থেকে তাদের রদবদল হয়েছে কিনা তা আমার জানা নেই।