বাংলা সাহিত্য আকাদেমি সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজের পাশাপাশি ‘নিরলস সাহিত্য সাধনার’ জন্য মমতাকে পুরস্কৃত করেছে। এই নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরে সমালোচনা শুরু হওয়ার পর নিন্দুকদের আক্রমণ করেছিলেন শুভাপ্রসন্ন। মমতার পুরস্কার প্রাপ্তি নিয়ে যাঁরা সমালোচনা করছেন, তাঁদের ঈর্ষাকাতর বলেন তোপ দাগেন।
তারপরই তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ থাকলে নিজের হাতে মমতাকে সংবর্ধনা দিতেন। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে শোরগোল পড়ে। কিন্তু, কেন এমন মন্তব্য করেছেন, তার ব্যাখ্যা দিলেন শুভাপ্রসন্ন।
তানি একান্তে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, রবীন্দ্রনাথ মধ্যম মানের ব্যক্তি ছিলেন না। তিনি থাকলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎসাহিত করতে পুরস্কৃত করতেন। কারণ, রবীন্দ্রনাথ জানতেন, তাতে তাঁর খ্যাতি কমবে না । গৌরব বাড়বে।
শুভাপ্রসন্ন বলেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় মমতার সঙ্গে আমার পরিচয়। একদিন আমায় বললেন, আমি ছবি আঁকি। যদি আমার ছবির একটা প্রদর্শনী করে দেন। সেইমতো মমতার বাড়িতে গিয়ে শুভাপ্রসন্ন দেখেছিলেন, চারিদিকে ছড়ানো রয়েছে ছবি। মমতার ১৫০ ছবির মধ্যে ৪২ টা ছবি বেছে প্রদর্শের ব্যবস্থা করেন শুভাপ্রসন্ন। ১১ টি ছবি এক লাখ টাকা করে বিক্রি হয়।
এর পরের ঘটনায় অবাক হয়ে গিয়েছিলেন শুভাপ্রসন্ন। নন্দীগ্রামের কৃষকদের ডেকে কাউকে ১০ হাজার, কাউকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে সাহায্য করেন তৃণমূল নেত্রী। দেখা যায়, প্রদর্শনীর সব টাকাই তিনি নন্দীগ্রামের কৃষকদের দিয়ে দিয়েছেন। তখন শুভাপ্রসন্ন মমতাকে বলেছিলেন, পরের প্রদর্শনীর জন্য তো ২০ শতাংশ টাকা রাখতে পারতে।
0 Comments