চলে গেলেন মুনমুন সেনের স্বামী ভরত দেব বর্মা

সংবাদপত্র ডেস্ক ,১৯ নভেম্বর ২০২৪:   প্রায় বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো খবরটা ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। কাউকে কিছু বলার বা করার কোনো সুযোগ দিলেন না তিনি। সকালেই আচমকাই তিনি অসুস্থ বোধ করা শুরু করেন। তড়িঘড়ি তাঁকে ঢাকুরিয়া বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়। খবর দেওয়া হয় অ্যাম্বুলেন্সকেও।অ্যাম্বুলেন্স আসার আগেই সব শেষ। বাবাকে হারালেন মুনমুনের দুই কন্যা রিয়া ও রাইমা সেন। ভরতের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ সিনেদুনিয়া। তারকা-স্বামীর সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল সক্কলের। অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেছেন, ‘খবরটা শুনে সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। ভরত আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। মুনমুন বলেছিল, শরীরটা ভালো থাকে না ভরতের। চোখে নাকি ঠিক মতো দেখতে পাচ্ছিল না।’ তারপর হঠাৎ এই খারাপ খবর। ত্রিপুরার রাজ বংশের পুত্র ভরত স্বভাবগত ভাবে ছিলেন ভীষণই প্রগতিশীল ব্যক্তি। দুরদর্শনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুনমুন জানিয়েছিলেন, ভরত চিরকাল তাঁকে সাপোর্ট করেছেন। স্বামীকে আদর করে ‘হাবি’ বলে ডাকতেন মুনমুন। 



   ৪৬ বছরের সংসার। অবশেষে থামল তাঁদের একসঙ্গে পথচলা। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "আমি সকালে খবর পেয়ে এখানে এসেছি। কিছুদিন আগেও সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল। পুজোর কার্নিভালেও রাইমা, রিয়া এসেছিল। তখনও কিছু তো বলেনি।” সেই প্রসঙ্গেই মুখ্যমন্ত্রী সুচিত্রা সেনের প্রসঙ্গে বলেন, ''ওদের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক। সুচিত্রা সেন একমাত্র আমার সঙ্গে দেখা করতেন। উনি বলেছিলেন, ওঁর শেষ সময়ের ছবি যেন কেউ না দেখে। উনি মারা যাওয়ার পর আপনারা দেখেছেন আমি চারপাশটা আড়াল দিয়েছিলাম। অনেক চেষ্টা করেও কিছুই দেখা যায়নি।” কেবল ভালো স্বামী নন, ভরত ছিলেন আদর্শ পিতাও। দুই কন্যা রাইমা ও রিয়াকে বুকে আগলে মানুষ করেছেন তিনি। বাবা-ই ছিলেন তাঁদের পাওয়ার হাউজ়। তাঁকে হারিয়ে স্তব্ধ সেন পরিবার, স্তব্ধ গোটা বিনোদন জগৎ।

Post a Comment

0 Comments