সংবাদপত্র ডেস্ক,২১নভেম্বর ২০২৪ঃ ট্রাম্প আগেই জানিয়েছিলেন যে তিনি প্রেসিডেন্ট হলে পুতিনের সঙ্গে তিনি আলোচনায় বসবেন। তার একমাত্র লক্ষ্য প্রায় ১০০০ দিন ধরে চলা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানো। ইতিমধ্যে হোয়াইট হাউসে গেছেন ট্রাম্প। সূত্র মাধ্যমে জানা যাচ্ছে, অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দুই রাষ্ট্রনেতা আলোচনায় বসতে চলেছেন। সূত্রের খবর, যুদ্ধ থামাতে বেশ কয়েকটি শর্তও দিয়েছেন পুতিন। এখন ইউক্রেনের প্রতিনিধি হিসাবে সেই দাবি কতটা মেনে নেবেন ট্রাম্প - তার উপর অনেকটা নির্ভর করছে যুদ্ধের অবসান।
এদিকে এই ১০০০ দিন ধরে চলা যুদ্ধে ইতিমধ্যে ইউক্রেনের অনেকটা ভূখণ্ড দখল করেছে পুতিনের সেনা। এই যুদ্ধের ফলে ইউক্রেনের হাজার হাজার মানুষের প্রাণ গিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ পড়শি দেশগুলিতে আশ্রয় নিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই ইউরোপে সবচেয়ে বড় সংঘাত। এই অবস্থায় কোনও পক্ষই চাইছে না যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হোক। কিন্তু যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়ার প্রধান শর্ত কি কি হতে পারে? প্রধান দুই শর্ত রয়েছে পুতিনের। প্রথমত যুদ্ধ অধিকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড ছাড়বে না রাশিয়া। পাশাপাশি কিয়েভ ন্যাটোয় যোগ দিতে পারবে না। বন্দি এবং ইউক্রেনে যুদ্ধরত প্রত্যেক রাশিয়ান সেনাকে নির্বিঘ্নে দেশে ফিরতে দিতে হবে। শান্তি ফেরাতে আমেরিকা-রাশিয়ার যে কোনও ধরনের চুক্তিতে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকতে হবে ইউক্রেনকে। এই শর্তগুলি পূরণ হলে শান্তি ফিরতে পারে ইউক্রেনে। প্রশ্ন উঠেছে ন্যাটোর প্রশ্ন ইউক্রেন মেনে নিলেও কি অধিকৃত অঞ্চল ছাড়তে রাজি হবে ইউক্রেন? ভবিষ্যত এর উত্তর দেবে।
0 Comments