সংবাদপত্র ডেস্ক,২৯নভেম্বর ২০২৪ঃ পরিবেশ দুষনের কারণে উত্তরবঙ্গের প্রায় সব নদী থেকেই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল এই সুস্বাদু
বামোশ মাছ। তা আবার ফিরে এলো জেলেদের জালে। গত বছর সিকিম পাহাড়ে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে তিস্তা নদীর বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জলদূষণের পাশাপাশি নদীর একাধিক এলাকায় পলি জমে উচ্চতা বেড়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে তিস্তার অন্যতম সম্পদ বোরোলি, বোয়াল, আড় মাছের মতো বামোশ মাছের প্রজাতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে ছিলেন পরিবেশ কর্মীরা। এদিন বামোশের উপস্থিতি এই আশঙ্কা থেকে অনেকটা রেহাই মিলল বলে মনে করছে মৎস্য দপ্তর। মৎস্য বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বামোশ মাছ বড় বাইন, দানব বাইন নামেও বিভিন্ন দেশে পরিচিত।
এক মৎস্যজীবীর জালে সেই আজগরের মতো দেখতে বমোশ মাছ উঠতেই ভিড় জমে যায়। জলপাইগুড়ি স্টেশন বাজারে তা আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে যায়। প্রায় সাড়ে তিন ফুট লম্বা, সাড়ে পাঁচ কেজি ওজনের বামোশ মাছটিকে নিলামে তোলা হয়। তা কিনে নেন মৎস্য ব্যবসায়ী মৃণাল রায়। তিনি জানান, দীর্ঘ প্রায় ২ বছর পর বাজারে এতো বড় বামোশ এল। এদিন বামোশের উপস্থিতি এই আশঙ্কা থেকে অনেকটা রেহাই মিলল বলে মনে করছে মৎস্য দপ্তর। মৎস্য বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বামোশ মাছ বড় বাইন, দানব বাইন নামেও বিভিন্ন দেশে পরিচিত। এক সময় ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপালের নদীতে প্রচুর সংখ্যায় এই মাছ পাওয়া যেত। এখন অবশ্য প্রায় লুপ্ত শ্রেণীর মাছের মধ্যে পড়েএই মাছ।
0 Comments