রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জী, আসানসোল: গত কয়েক দিন আগেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কুলটি থানার অন্তর্গত বরাকর পুলিশ ফাঁড়ির পশ্চিমবাংলা ও ঝাড়খন্ড সীমান্ত এলাকার বরাকর বর্ডারে নাকা তল্লাশির সময় এক মোটরবাইক আরোহীর কাছ থেকে বিপুল পরিমান আগ্নেয়অস্ত্র উদ্ধার করে এবং গ্রেফতার করা হয় ওই মোটর বাইক আরোহীকে। ধৃতের নাম আসমহম্মদ ওরফে বাবলু সে কুলটি থানার কেন্দুয়াবাজার এলাকার বাসিন্দা।
তাকে জেরা করে পুলিশ কুলটি থানার জাতীয়সড়ক সংলগ্ন এলাকা থেকে আরো দুই জনকে গ্রেফতার করে অস্ত্র কান্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে। ধৃত ওই দুই ব্যাক্তির বাড়ি উত্তরপ্রদেশের ফিরোজাবাদ এলাকায়। এর পর ধৃত ৩ জনকে জিজ্ঞসাবাদের পর উঠে আসে কুলটি থানা এলাকার সাঁকতড়িয়া ফাঁড়ি অন্তর্গত ডিসেরগড়ে এক বেআইনি অস্ত্রকারখানার খোঁজ। আর এর পরেই কুলটি থানার পুলিশ ডিসেরগড় ভাঙ্গাবাঁধ নয়নম্বর নদীধার এলাকার এক নবনির্মিত বাড়ির আন্ডারগ্রাউন্ড ঘর থেকে উদ্ধার হয় বেশ সংখ্যায় সম্পূর্ণভাবে তৈরী আগ্নেঅস্ত্র ও অসুম্পূর্ণতৈরী আগ্নেয়াস্ত্র ও মেগাজিন।
তবে ওই বেআইনি অস্ত্র কারখানা নিয়ে তুঙ্গে কুলটির রাজনৈতিক তরজা। এই বিষয়ে কুলটির প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা বর্তমান বিজেপি নেতা অভিজিৎ আচার্য বলেন তৃনমুলের জামানায় রাজ্য ভোরে গেছে দু নম্বরিতে। পুলিশের নাকের ডগায় কিভাবে এতবড় অস্ত্র কারখানা গজিয়ে উঠলো। আর পুলিশের ইন্টেলিজেন্ট বিভাগ কি করলো। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন আর কিছুদিন পরেই অন্যান্য বেশকিছু রাজ্যে ভোট এখন থেকেই সেখানে পাচার হয় অস্ত্র।
অন্যদিকে কুলটি ব্লক সভাপতি এই আগ্নেঅস্ত্র কারখানা নিয়ে কী বলেন এই ভাড়া বাড়ি গুলিতে রাতের অন্ধকারে করা আসে তা জানা কারোরই সম্ভব নয়। পাশাপাশি তিনি বলেন পুলিশ পুলিশের কাজ করছে। শুধু তাই নয় জমি মাফিয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন এঘটনার সঙ্গে যেই জড়িত থাকুকনা কেন পুলিশ যেন তার উপর যথাযথ আইন প্রয়োগ করে। সে যে রাজনৈতিক দলেরই হোকনা কেন। অন্যদিকে তিনি বলেন এখনতো ওখানে বিজেপির বিধায়ক তো আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব তারও।
0 Comments