সামনেই আলোর উৎসব দীপাবলি, আলোর রোশনাই ভোরে উঠবে চারিদিক। প্রদীপের শিখা আর মোমবাতির আলোয় আলোকিত হবে ইট কাঠ কংক্রিটের শহরতলি থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম। মাটির প্রদীপের আলোয় সেজে ওঠে আলোর উৎসব। আজ চিত্রটা অনেকটাই পাল্টেছে, চায়না টুনি বাল্ব এর দাপটে সেই মাটির প্রদীপ চাহিদা আজ খুব কম।
তবে এবার গ্রামীণ এলাকার পড়ুয়া শিশুদের তৈরি প্রদীপ দিয়ে তাদের বাড়িতে পালিত হবে এবারের দীপাবলি। দীপাবলিতে বাড়িতে প্রদীপ দেওয়ার রীতি প্রাচীনকাল থেকেই প্রচলিত। সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে একটু আলাদা কিছু করার কথা ভেবেছিলেন এলাকার শিক্ষক সৈকত সরকার বেশ কিছুদিন থেকেই। অনেকের সাথেই কথা বলেছিলেন এই বিষয়ে। ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েরা এগিয়ে এসেছিল সবার আগে। তাই তাদেরকে নিয়েই শুরু করলেন প্রদীপ বানাতে। কাজে লাগালেন বাড়ির গোবরকে। গোবরের সাথে কিছু ধুনো ও সুগন্ধি মিশিয়ে তৈরী করা হয়েছে প্রদীপ। সেগুলোকে রৌদ্রে শুকিয়ে নেওয়ার পর তেল ও সলতের সহযোগে প্রজ্জলিত হলো ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের আন্তরিক প্রচেষ্টায়। প্রদীপটি পুরোপুরি প্রজ্জলনের পর ছাইতে রূপান্তরিত হবে, যা অনায়াসেই জমিতে সার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন সৈকত বাবু। এই উদ্যোগের কথা জানার পর অনেকেই এই প্রদীপ নেবার ইচ্ছে জানিয়েছেন। এর ফলে সেইসকল ছেলেমেয়েদের মায়েরাও এই প্রদীপ বানাতে উদ্যোগী হয়েছেন। তারা কিছুটা অর্থ উপার্জন করলে নিঃসন্দেহে এই প্রচেষ্টার সফল বাস্তবায়ন হবে বলেই আশা রাখছেন সৈকত।
প্রসঙ্গত দিনহাটা ২ নং ব্লকের টেপরাই ও দুর্গানগরের প্রায় ৪০-৫০ টি বাড়িতে এবারের দীপাবলীতে এই পরিবেশ বান্ধব প্রদীপ গুলো জ্বলবে। দীপাবলীতে পরিবেশ বান্ধব প্রদীপগুলো পেয়ে খুশী এলাকাবাসী।
0 Comments