খাতা, কলম, সার্টিফিকেট নিয়ে দরজায় জাকারিয়া! দিনহাটাবাসি দেখলো অন্য রকম কাউন্সিলরকে


নিজস্ব সংবাদদাতা: হাতে কলম, ডাইরি কাউন্সিলরের প্যাড নিয়ে ঘুরছেন বাড়ির দরজায় দরজায়। এমন ছবিটা দেখলে আপনি হয়তো ভাবতে বাধ্য যে নিশ্চয়ই কোন সার্ভেয়ার এসেছে সার্ভে করতে। কিন্তু যদি সেটা ভেবে থাকেন তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। হাতে খাতা কলম নিয়ে যিনি এভাবে নিজের ওয়ার্ড এর প্রত্যেকটি বাসিন্দাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরছেন তিনি আর কেউ নন, তিনি দিনহাটা পৌরসভার 16 নম্বর ওয়ার্ডের নবনিযুক্ত কাউন্সিলর জাকারিয়া হোসেন। যিনি এলাকায় সকলের কাছে পরিচিত বাপ্পাদা নামে।




এতদিন আপনারা তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত রাজ্য সরকারের দুয়ারে সরকার প্রকল্পের কথা শুনে এসেছেন। কিন্তু দুয়ারে কাউন্সিলর এটা বোধহয় জাকারিয়ার হাত ধরেই রাজ্য প্রথম। তিনি জানান, কাউন্সিলর হিসেবে শপথ গ্রহণ করার পরদিনই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সাধারণ মানুষকে পরিষেবা পাওয়ার জন্য আর কাউন্সিলরের দরজায় আসতে হবে না।  কাউন্সিলর নিজেই পৌঁছে যাবে সাধারণ মানুষের দরজায় বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা নিয়ে। হোক না সেটা জন্ম-মৃত্যুর নিবন্ধীকরণ সার্টিফিকেট বা রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট বা ইনকাম সার্টিফিকেট। সাধারণ মানুষের যখন যেটা প্রয়োজন এক ফোনেই কাউন্সিলর জাকারিয়া পৌঁছে যাচ্ছেন তাদের দরজায়! দিচ্ছেন পৌর পরিষেবা।

জাকারিয়া হোসেন দিনহাটা পৌরসভার 16 নম্বর ওয়ার্ডের নবনিযুক্ত কাউন্সিলর। জনপ্রতিনিধির পাশাপাশি তিনি একজন সফল আইনজীবী। এছাড়াও তার আরও একটি বিশেষ পরিচয় রয়েছে। বাংলাদেশের প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ভাতিজা তিনি। তাই জন্মসূত্রে প্রভাবশালী বংশের সন্তান হয়েও এভাবে তিনি জনসেবাকে যে বেছে নিয়েছেন তা অনেকেই প্রশংসা করছেন। জাকারিয়া জানান, আমি প্রথম দিন থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সাধারণ মানুষের দরজায় দরজায় আমি পুরোপুরি সেবা পৌঁছে দেব আর সেই কথা রাখতেই গত বৃহস্পতিবার থেকে আমি এই নতুন উদ্যোগ নিয়েছি।

এদিকে নিজেদের কাউন্সিলর কে এভাবে ঘরের দরজায় পেয়ে সাধারণ মানুষও খুব খুশি। তারাও জানাচ্ছেন তাদের একের পর এক অভাব-অভিযোগ। কাউন্সিলর সাধ্যমত চেষ্টা করছেন সেগুলোর সমাধান দিতে। তার কাছ থেকে ইতিমধ্যেই জানতে পারা গেছে 16 নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জলের কিছুটা সমস্যার অভিযোগ তিনি পেয়েছেন এবং সেটা সমাধানের ব্যাপারে তিনি যথেষ্টই উদ্যোগী।

Post a Comment

0 Comments