ট্যাব কেলেঙ্কারি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর !

সংবাদপত্র ডেস্ক,২২নভেম্বর ২০২৪ঃ বাংলায় 'কেলেঙ্কারি' শব্দটা নতুন কিছু নয়। সেই কেলেঙ্কারির শেষ সংযোজন 'ট্যাব কেলেঙ্কারি।' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্ৰিয় প্রকল্প 'তরুণের স্বপ্ন' এর একটি বিশেষ অংশ হলো যাতে ছাত্র ছাত্রীদের বাড়িতে বসে পড়াশুনা করতে পারে তার জন্য ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া- ট্যাব কেনার জন্য। এ বছর হঠাৎ খবর পাওয়া যাচ্ছে, ছেলে মেয়েদের যেই ট্যাবের টাকা চলে যাচ্ছে অন্য একাউন্টে। এই নিয়ে চারিদিকে আলোচনার ঝড় উঠেছে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, " রাজীব জেলায় জেলায় নির্দেশ দিয়ে দাও। প্রতি জেলায় একজন করে নোডাল অফিসার থাকবে। টাস্ক ফোর্সের বৈঠক করো। ১৬০০ কোটি টাকার ট্যাব আমরা দিই। ১৯০০-র মতো অ্যাকাউন্ট ফ্রড হয়েছে। জামতাড়া গ্যাং সকলের সঙ্গে মিশছে।” পুরো পরিস্থিতির উপর নজরদারি আরও বাড়ানোর পক্ষেই জোরালো সওয়াল করেন মমতা। তিনি জানান, যারা টাকা পায় নি, তাদের টাকা খুব তাড়াতাড়ি একাউন্টে ঢুকে যাবে। ট্যাবকাণ্ড সামনে আসার পর থেকে বারবার সামনে এসেছে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার প্রসঙ্গ। গ্রেফতারির সংখ্যার নিরিখেও এগিয়ে রয়েছে এই এলাকা। এই নিয়ে তদন্তে নেমে আশ্চর্য হয়েছে সাইবার ক্রাইম দপ্তর।



   সেইবার ক্রাইম দপ্তরের বক্তব্য, বহু ক্ষেত্রেই ‘সাধারণ’ মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে চলেছে জালিয়াতি। নাম জড়িয়েছে একাধিক সাইবার ক্যাফের মালিকের। এর আগে আধার জালিয়াতেও নাম জড়িয়েছিল চোপড়ার। এবার ট্যাবকাণ্ডে নাম জড়াতেই অনেকেই ঝাড়খণ্ডের কুখ্যাত জামতাড়ার সঙ্গে তুলনা করতে শুরেছিলেন চোপড়ার। বিগত কয়েক দশকে একের পর এক সাইবার প্রতারণায় নাম জড়িয়েছে জামতাড়ার। এখন দেখার প্রতারিত হওয়া সমস্ত টাকা সরকার ফেরৎ আনতে পারে কিনা!


Post a Comment

0 Comments