'কৃষক বন্ধু' একাউন্টে টাকা ঢুকবে আজ থেকে ।

সংবাদপত্র ডেস্ক,২২নভেম্বর ২০২৪ঃ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রী একাধিক বিষয় সামনে আনেন। তিনি যেমন ট্যাব কেলেঙ্কারির কথা বলেন, তেমনই বলেন কৃষক বন্ধুর কথা। কৃষকবন্ধু প্রকল্পে রবি শস্যের জন্য কৃষকদের আর্থিক সহায়তা দেবে রাজ্য। এর জন্য ২৯৪৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে রবি শস্যের জন্য কৃষকবন্ধু প্রকল্পে ১ কোটি ৮ লক্ষ ৯৫ হাজার কৃষককে সহায়তা করা হবে। আগামিকাল (শুক্রবার) থেকেই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া শুরু হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যের আর্থিক অবস্থা খুবি খারাপ। কিন্তু তবুও তার সরকার কৃষকদের পাশে থাকবেন।



  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শোনা যায়, এ বছর বন্যায় কৃষকরা কিভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সেই কথা। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এ বছর এখনও পর্যন্ত ৫৮৫৯ কোটি টাকা সহাযতা করা হয়েছে। ২০১৯ সালে এই প্রকল্প শুরু হয়। সেই সময় থেকে এই প্রকল্পে ২১ হাজার ১৩৪ কোটি টাকা সহায়তা করা হয়েছে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানান। কেন্দ্রকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “এটা পুরোটাই রাজ্যের টাকা। কেন্দ্রের কোনও সহায়তা নেই।”বাংলার শস্য বিমার কথাও এদিন বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, নভেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ২ লক্ষ কৃষক শস্য বিমা প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। মোট ৩ হাজার ২২১ কোটি টাকা সহায়তা করা হয়েছে। বন্যা, ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা। সেজন্য এবার শস্য বিমার সময়সীমা সেপ্টেম্বর থেকে বাড়িয়ে নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।

আর জি কর কাণ্ডের পর থেকে রাজ্যে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সেই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "রাজনৈতিক নেতাদের নামে সবাই বদনাম করে বেশি। ৫ টাকা খেলে ৫০০ টাকা বলে দেয়। কিন্তু রাজনৈতিক নেতারা জনগণের টাকা খাওয়ার আগে দশবার ভাবে। কিন্তু, নীচুতলার কিছু অফিসার, কিছু কর্মী যাঁরা এই সরকারকে ভালবাসে না, পুলিশেরও কিছু লোক টাকা খাচ্ছে।” স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, মুখ্যমন্ত্রী তাহলে কি 'যত দোষ নন্দ ঘোষ' থিওরিতে বিশ্বাস করে শুধুই নিচু তলার পুলিশ কর্মীদের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে দিলেন

Post a Comment

0 Comments