সংবাদপত্র ডেস্ক,২০ নভেম্বর ২০২৪ঃ আমাদের ট্রেডিশনাল পদ্ধতি হচ্ছে একজন ছাত্র বা ছাত্রীর সারা বছরের পড়াশুনার মূল্যায়ন হয় নম্বর দিয় অর্থাৎ মার্কশিটে কত নম্বর পেলো সেটাই তার মূল্যায়ন। কিন্তু এবার নতুন পথে হাঁটতে চলেছে কোচির বেশ কয়েকটি সিবিএসই স্কুল। প্রি কেজি থেকে শুরু করে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের মূল্যায়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকরা কোনও নম্বর দেবেন না। বাঁধা গতে পরীক্ষাও নেওয়া হবে না। তার বদলে প্রত্যেক দিন পড়ুয়ারা কেমনভাবে শিখছে, তার ভিত্তিতেই মূল্যায়ন হবে। কিন্তু নম্বর না থাকলে কীভাবে মূল্যায়ন হতে পারে? তার জন্য এক অভিনব উপায় বের করেছেন কোচির শিক্ষকরা। কোন পড়ুয়া কতটা শিখতে পারল, সেটা মূল্যায়ন করতে এবার থেকে ইমোজি ব্যবহার করবেন তাঁরা। হাততালি, স্টার, ট্রফির মতো ইমোজি দিয়েই বোঝানো হবে, স্কুলে গিয়ে ওই পড়ুয়া কতটা উন্নতি করতে পারল। এভাবে মূল্যায়নে পড়ুয়াদের উৎসাহ বাড়বে বলেই তারা মনে করেন।
এই নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন অনেক শিক্ষক ও শিক্ষিকা। এক শিক্ষিকার মতে, “এইভাবে ইমোজি দিয়ে মূল্যায়ন করলে সেটা পড়ুয়াদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় হবে। পাশাপাশি এইভাবে মূল্যায়ন করলে সেটা পড়ুয়াদের মনেও থাকবে।” ইমোজি দিয়ে মূল্যায়ন করলে শিশুদের উপর পড়াশোনার চাপ কমবে বলেই আশাবাদী কোচির শিক্ষকমহল। এটা যে 'ডিজিটাল ইন্ডিয়া'র একটা আধুনিক অংশ তা সহজেই বোঝা যায়। জানা যাচ্ছে, ২০২০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতিতেই স্পষ্ট বলা হয়েছে, পড়ুয়াদের উপর থেকে চাপ যথাসম্ভব কমাতে হবে। লিখিত পরীক্ষার বদলে পড়ুয়াদের হাতে কলমে শিক্ষা এবং চিন্তাভাবনার বিকাশের উপরে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। সেই কথা মাথায় রেখেই এই অভিনব পন্থা নিয়েছে কোচির স্কুলগুলো।
0 Comments