নাজিম আক্তার, হরিশ্চন্দ্রপুর: হাতুড়ে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় কর্মস্থল হায়দরাবাদে প্রাণ গেল মালদহের এক পরিযায়ী শ্রমিকের। দুই দিন পর নিথর দেহ কফিন বন্দি হয়ে পৌঁছালো নিজ বাড়িতে। জানা যায় মৃত যুবকের নাম নুর ইসলাম(২২)। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-২ নং ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চিথোলিয়া গ্রামে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় পনেরো দিন আগে নুর ইসলাম স্ত্রী মুক্তারি খাতুন ও ১০ মাসের কন্যা সন্তান নাসরিন খাতুনকে সঙ্গে করে ভিন রাজ্য হায়দরাবাদে রাজ মিস্ত্রির জোগানদারের কাজ করতে যায়। শনিবার নুর ইসলাম জ্বরে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই এলাকার এক হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করাতে যায় বলে খবর। ডাক্তার রোগ নির্ণয় না করে ভুল ইঞ্জেকশন দিয়ে আরও অসুস্থ করে ফেলে নুরকে। ঘন্টা খানেক কাটতে না কাটতেই নুরের শারিরীক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। রবিবার সকালে মারা যায় বলে খবর।
মৃত নুর ইসলামের স্ত্রী মুক্তারি খাতুনের অভিযোগ, ডাক্তারবাবুর ভুল ইঞ্জেকশন জন্যে তার স্বামীর অকালে প্রাণ গেছে।তিনি আরও জানান প্রায় পনেরো দিন আগে স্বপরিবারে হায়দরাবাদ রাজ্যের বালাপুর থানার নিউ বাবা নগর এলাকায রাজ মিস্ত্রির জোগানদারের কাজ করতে যান। শনিবার স্বামী জ্বরে অসুস্থ হয়ে পড়লে পাশেই এক হাতুড়ে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গেলে ভুল চিকিৎসার জন্য আরও অসুস্থ হয়ে পড়ে। রবিবার সকালে মারা যায়। বালাপুর থানায় ওই চিকিৎসকের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। অভাবের সংসার। একমাত্র রোজগেরে মারা গেল।কিভাবে কন্যা সন্তানকে বড় করে তুলবে তা কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে অভিযুক্ত ডাক্তারের নাম নৌসাদ আনসারী। বিহার রাজ্যের বাসিন্দা। দীর্ঘ চার বছর ধরে হায়দরাবাদের বালাপুর থানার নিউ বাবা নগর এলাকায হাতুড়ে ডাক্তারি করে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলেই মৃত্যুর রহস্যটি জানতে পারবে বলে জানান।
অভিযুক্ত ডাক্তার নৌসাদ আনসারী বলেন 'নুর ইসলাম নিজেই সঙ্গে করে ইঞ্জেকশন নিয়ে এসেছিল। ইঞ্জেকশন দিতে বললে আমি দিয়েদি। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে সে কিছুই জানে না।'

0 Comments