সিতাইয়ে ঐতিহাসিক ১৮ ই জুলাই দিবস পালন করল GCPA অনন্ত পন্থীর কর্মী-সমর্থকরা

 



সোমবার সকাল সিতাই ১ নম্বর অঞ্চলের পূর্ব ভাড়ালী স্কুল মাঠে গ্রেটার কুচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের দলীয় পতাকা উত্তোলন এছাড়াও পূজা অর্চনার মাধ্যমে এই দিনটি সাড়ম্বরে পালিত হল। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা আন্দোলনের ফলে ব্রিটিশের শাসন অস্থির হয়৷  তৎকালীন ব্রিটিশ রাণী এলিজাবেথ ভারতবর্ষে এসে তদারপি করে এবং ব্রিটিশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ক্লিমেন্ট এটলিক ভারতবর্ষ কে স্বাধীনতা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয় ৷ সেই নিদের্শ মোতাবেক ক্লিমেন্ট এটলি ১৯৪৭ সালে ৪ ঠা জুলাই একটি খসড়া বিল তৈরী করেন এবং সেই খসড়া বিলটি ১৯৪৭ সালের ৯ ই জুলাই ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পেশ করে ৷ ১৯৪৭ সালের ১৮ ই জুলাই উক্ত বিল পাশ করে এবং আইনে পরিণত হয় ৷ যা "Indian Indipendance Act 1947 , 18 July" হিসাবে পরিচিত ৷ উক্ত আইনের মাধ্যমে ভারতবর্ষ স্বাধীনতা লাভ করে ৷ উল্লেখ্য ১৭৭৩ সাল হইতে ১৯০২ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন চুক্তির মাধ্যমে কোচবিহারের মহারাজার কাছ থেকে যে এলাকা গুলি ব্রিটিশ অধিগ্রহণ করেছিলেন, তা ১৮ ই জুলাই ১৯৪৭ সালে "Indian Indipendance Act" এর ৭/১  (খ) ধারা মতে ব্রিটিশ সরকার কোচবিহারের মহারাজকে লিখিত ভাবে ফেরত দেয় এবং সেই দিন থেকে কোচবিহার রাজ্য গ্রেটার কোচবিহার রাজ্যে পরিনত হয় ৷ সেই সময় কোচবিহার রাজ্যের সীমানায় যে জায়গা গুলি ছিল সেগুলি হল দক্ষিন দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, অবিভক্ত অসমের গোয়ালপাড়া জেলা ৷ 

সেদিন ১৮ ই জুলাই, ১৯৪৭ সালে গ্রেটার কুচবিহার প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর থেকে প্রতি বছর ঐতিহাসিক ১৮ই জুলাই দিনটি সাড়ম্বরে পালিত হয় কোচবিহার সহ গোটা উত্তরঙ্গের মানুষের কাছে। এদিন সিতাইয়ে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ব্লক GCPA সভাপতি তপন বর্মন।

Post a Comment

0 Comments