সংবাদপত্র ডেস্ক, 07 জানুয়ারি , 2025: বিশ্ব সৃষ্টির পর থেকে নিরলস ভূমিকম্প হয়ে চলেছে। ভূমিকম্পের কারণে বার বার ঘটেছে বিশ্বের মানচিত্রের পরিবর্তন। আধুনিক কালে রিখটার স্কেল আবিষ্কারের পরেই বিশ্ববাসী ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপার সুযোগ পাচ্ছে। সেই নিরিখে বিশ্বের শক্তিশালী ৫টি ভূমিকম্প হলো -
১) ভালদিভিয়া ভূমিকম্প -
এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ‘গ্রেট চিলিয়ান ভূমিকম্প’ নামেও পরিচিত। ১৯৬০ সালের ২২ মে বিকেলে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলির ভালদিভিয়া শহরে আঘাত হানে এই ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৯ দশমিক ৫। এই ভূমিকম্পের পর শক্তিশালী সুনামি আছড়ে পড়ে চিলির উপকূলে। এমনকি প্রশান্ত মহাসাগরের অপর পাশে হাওয়াই উপকূল, জাপান ও ফিলিপাইনের উপকূলীয় এলাকায় সুনামির আঘাত লাগে। ভালদিভিয়া ভূমিকম্পে কতজন মারা গেছেন, সেটা নিশ্চিত নয়। বলা হয়, নিহত হওয়ার সংখ্যা সর্বোচ্চ ছয় হাজার। আরও হাজার তিনেক মানুষ আহত হন।
২) গ্রেট আলাস্কা ভূমিকম্প -
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় আঘাত হানা এই ভূমিকম্পকে ‘গুড ফ্রাইডে ভূমিকম্প’ নামেও ডাকা হয়। ১৯৬৪ সালের ২৭ মার্চ গুড ফ্রাইডের বিকেলে আলাস্কার প্রিন্স উইলিয়াম সাউন্ড অঞ্চলে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তীব্রতা ছিল ৯ দশমিক ২। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প এটা।
ভূমিকম্পের পর ২৭ ফুট উঁচু সুনামি উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে। এই ভূমিকম্প ও সুনামিতে ১৩৯ জনের মৃত্যুর খবর জানা যায়। তার মধ্যে শুধু ভূমিকম্পে নিহত হন ১৫ জন।
৩) সুমাত্রা ভূমিকম্প -
৪) তোহোকু ভূমিকম্প -
জাপানের উপকূলঘেঁষা প্রশান্ত মহাসাগরে ২০১১ সালের ১১ মার্চ আঘাত হানে এই ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৯ দশমিক ১। ভূমিকম্পের পর জাপানের ভূখণ্ডে প্রলয়ংকরী সুনামি আঘাত হানে। জলোচ্ছ্বাস উঠেছিল ১৩৩ ফুট উঁচুতে। এমনকি জাপানের উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার ভেতরেও সুনামির ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের পানি ঢুকে পড়ে।
ইতিহাসের অন্যতম প্রাণঘাতী দুর্যোগ বিবেচনা করা হয় এটাকে। ২০১৫ সালের ১০ মার্চ জাপান সরকার জানায়, ওই ভূমিকম্প ও সুনামিতে ১৫ হাজার ৮৯৪ জন নিহত ও ৬ হাজার ১৫২ জন আহত হয়েছিলেন।
৫) ক্যামচাটকা ভূমিকম্প -
১৯৫২ সালের ৪ নভেম্বর রাশিয়ার দূরবর্তী পূর্বাঞ্চলের ক্যামচাটকা উপদ্বীপে আঘাত হেনেছিল এই ভূমিকম্প। রিখটার স্কেলে এর তীব্রতা ছিল ৯। ভূমিকম্পের পর প্রশান্ত মহাসাগরের বিশাল ঢেউ সুনামি হয়ে আছড়ে পড়েছিল উপকূলীয় অঞ্চলের ওপর। ৫০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যায় জনপদ। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় ক্যামচাটকা উপদ্বীপ ও কুরিল দ্বীপে। ভূমিকম্প আর সুনামিতে ১০ হাজার থেকে ১৫ হাজার মানুষ নিহত হন।
0 Comments